Name: Ayan ( Pseudonym)
Age: 26
Country: Bangladesh
“কিরে, আজকেরটার সাথেও কিছু করতে পারলি না ?!”
“তুই কি গে নাকি, তাহলে পোলাগো সাথে ট্রাই মেরে দেখ!”
“আরে, ওর কথা বলিস না!,
ওয় তো কলিকাতা হারবালের রোগী!
ওর দ্বারা পোলা-মাইয়া কারো সাথেই এইসব পসিবল না!”
কায়েস ও ফারহানের কথাগুলো শুনে আরো মনটা আরো খারাপ হয়ে যায় আয়ানের। সেটা দেখে বাল্যবন্ধু রাহাত, ভরসা দেয়ার জন্য বললো
“তুই ডাক্তার দেখা মামা। নয়তো ভায়াগ্রা খা, দেখবি দুনিয়ার সবাইকে ভাল্লাগবো”
ক্লোজ ফ্রেন্ড ওরা,কিন্তু ওদের কথাগুলো ওর ভালো লাগে না, তাই উঠে পড়ে। ওদিকে ওরা তাকে নিয়ে হাসাহাসি করতেই থাকে। একাকী মনে হয় তার নিজেকে। রেশমা নামের মেয়েটার সাথে অনেকদিন থেকেই অনলাইনে কথা হচ্ছিলো। মেয়ের সাথে অনলাইনে বেশ জমিয়েই প্রেম করেছে। সামনাসামনি আজই প্রথম দেখা হলো, এতদিন কথা বলার পর, ওরা মোটামুটি ফ্রি। তাই মেয়েও ক্লোজ হয়ে কিস করার ট্রাই করলো, যদিও এটা স্বাভাবিক আচরণ কিন্তু আয়ানের ভালো লাগে নি। আসলেই কি ভালো লাগে নি নাকি কোনোকিছু অনুভূত হয় নি? আর ভাবার চেষ্টা করে না সে।। ক্লান্ত হয়ে নিজের রুমে এলিয়ে পড়ে। ফোনের স্কিনে পর্ণ চলতে থাকে, দুটি ছেলে মেয়ে পরষ্পরকে চুমু খাচ্ছে। এগুলো দেখে নানা শিহরণ খেলে যায়, কিন্তু সামনাসামনি কেন পারে না ওমন?! ভালো কেন লাগে না কিছু?
অনলাইনে ভায়াগ্রা বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করে আয়ান। তারপর, অর্ডারও করে বসে। ভায়াগ্রা হাতে পাওয়ার পর, সে ঢাকার একটি “আবাসিক” হোটেলে যায়, চেষ্টা করে কোনো মেয়ের সাথে সেক্সুয়াল ইন্টেমেসিতে জড়াতে পারে কি না। কিন্তু, ভায়াগ্রা নিয়েও লাভ হয় না, লিবিডো অনেক হাই ছিলো কিন্তু মেয়েকে ছুঁতে পারে নি। সে কি বেশি “পিকি”? মেয়ের কি ভালো লাগে নি তার? মেয়ে সুন্দর দেখতে বডি টাইপ ও আকর্ষণীয় সাথে ঔষধের প্রভাব তো আছেই। কিন্তু তাও কোনো প্রকার আবেদন পাচ্ছে না। ইচ্ছে ই হচ্ছে না ইন্টেমেসিতে জড়ানোর।
পরে, মাস্টারবেশন করে নিজেকে শান্ত করেছে কিন্তু মেয়ে হেসেছিলো, বলেছিলো, “এমন নলা পোলা হইয়া আমাকে পুন্দাইতে আইছেন, তাও ঔষধ খাইয়া। আপনের তো মিয়া পুরা সিস্টেমই ডাউন!!”
মেজাজ খিঁচড়ে গিয়েছিলো। কিন্তু তারপরেই হতাশা গ্রাস করে ফেলে । কাপড় গায়ে গলিয়েই, দৌড়ে বেড়িয়ে পড়ে হোটেল থেকে।
ভায়াগ্রা ব্যবহার করে আরো চেষ্টা করেছে সে, তার বদৌলতে কষ্ট ই পেয়েছে কেবল!!
ভায়াগ্রা ব্যবহারের নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতেও ভুগতে হয়েছে। মাথা ব্যথায় যেমন কষ্ট পেয়েছে তেমনি পেটের পীড়ায়ও আক্রান্ত হয়েছে।
রাহাত এসব শুনে ওকে সেক্সোলজিস্ট বা থেরাপিস্টের কাছে যেতে বলেছিলো। কিন্তু সে শুনে নি কথা।
জিদে এবং হতাশায় মাস্টারবেশন বাড়তে থাকে।আগে শুধু সকালে উঠে একবার মাস্টারবেট করতো, সেখানে এখন কোন কোন দিন ৩ থেকে ৫ বার সে করে। শরীরের সকল এনার্জি শেষ হয়ে যাচ্ছে, তারপরেও শরীর শান্ত হচ্ছে না, কান্ত শরীর নিয়েও তীব্র উত্তেজনার ফলে সে বার বার মাস্টারবেশন করতে যাচ্ছে আর প্রতিদিন একাধিকবার মাস্টারবেশন করায় প্রতিরোধহীন উত্তেজনার ক্রমশ বৃদ্ধিতে শরীর স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। পড়াশোনায়ও মনোযোগ কমে যেতে থাকে। সবার কাছে ক্লাসের অন্যতম ভালো ছাত্র পরিচিতি পাওয়া আয়ান গত সেমিষ্টারে ফেল করে বসে। অ্যাংজাইটি এবং ডিপ্রেশনে পড়ে হোস্টেল থেকে বের হওয়াও প্রায় বন্ধ করে দিলো।
একটা সময় তার মনে হলো তাকে আসলেই থেরাপিস্টের কাছে যাওয়া উচিৎ। কিছুদিন থেরাপিতে গিয়ে বুঝতে পারলো সে কি ভুল করেছে!! শুরুতে তো থেরাপিস্ট বুঝতেই পারে নি তার কি সমস্যা। তারপর যে সব উপায় অবলম্বন করলো সেগুলা কোনো কাজই করলো না বরং মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে লাগলো আয়ান। সেক্স থেরাপি আর বমি উদ্রেককারী ঔষধ এসবের প্রয়োগ ঘটাচ্ছিলো থেরাপিস্টে৷
আর, থেরাপিস্ট তার সাথে এমন ব্যবহার করতো যেন, সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত একজন মানুষ। সে চরম অপরাধ কিছু করে ফেলেছে এমন একটা ভাব থেরাপিস্টের। থেরাপিস্ট তাকে জিজ্ঞেস করে, তুমি কি কারো সাথে জোরপূর্বক কোনো সেক্সুয়াল ইন্টেমেসিতে জড়িয়েছিলে, সেই অপরাধবোধ থেকে এখন এরকম বলছো? তুমি যা বলছো তা হওয়া অসম্ভব, আমরা সবাই বিপরীত বা সমলিঙ্গের কারো না কারো প্রতি আকর্ষিত হই। তুমি একেবারেই আকর্ষণ বোধ করো না, নাকি তোমার যৌনাঙ্গে সমস্যা আছে? ঐটার চিকিৎসা করা দরকার!!
“Life isn’t about waiting for the storm to pass; it’s about learning to dance in the rain and finding joy in the midst of life’s challenges.”
Vivian Greene
রাহাতের কাছে শেয়ার করলো, এই থেরাপি কেবল তার লিবিডো বাড়াচ্ছে কিন্তু, এট্রাকশনের কোনো পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারছে না।কোনো মেয়ে কিংবা ছেলের প্রতি তার সেক্সুয়াল কিংবা রোমান্টিক ফিল হচ্ছে না। থেরাপিস্টের জঘন্য ব্যবহারের কথাও গোপন রাখে নি। রাহাত বললো শুরুতে এরকম হতে পারে কিন্তু পরবর্তীতে সব ঠিক হয়ে যাবে। থেরাপি চলতে থাকলো, প্রাথমিক পর্যায় থেকে আরো গভীরে। তার মধ্যে অ্যাংজাইটি ক্রমশ বাড়তে থাকলো। থেরাপির সকল প্রসিডিওর তার জন্য দুঃস্বপ্নের মতো হতে লাগলো৷ থেরাপি তো তার কোনো রোগ সারাতে পারছে না, তাহলে কি তা রোগ নয়?? তার মনে হতে লাগলো, পৃথিবীতে সে একা। তার মতো কেউ নেই, সবাই তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছে। সবাই বিপরীত বা সমলিঙ্গের সাথে সম্পর্কে জড়াচ্ছে কেবল সে-ই একা, কিচ্ছু করতে পারছে না।
সে আবার ট্রাই করে, কারো সাথে জড়ানো যায় কি না!
কিন্তু পারে না, যতবার চেষ্টা করে ততই যেন আকর্ষণ আরো কমতে থাকে।।
হতাশাগ্রস্ত হয়ে মনে করলো এই পৃথিবীতে থাকাটা আর সম্ভব নয়। আত্মগ্লানি, মানুষের ঠাট্টা মশকরায় বিরক্ত হয়ে সুইসাইডের সিদ্ধান্ত নিলো।
ডাক্তার থেরাপির সাথে সাথে ঘুমেরও ঔষধ লিখে দিয়েছিলো কিছু। সেগুলা হাতে নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। ফার্মেসি প্রেসক্রিপশন দেখে, সন্দেহ করবে না কিছু। কিনে নেয় প্রায় ৩ পাতা ঔষধ। হোস্টেলে এসে নিজের রুমে এসে দরজা বন্ধ করে৷ সবকটা একসাথে খেয়ে নেয়।
পরের দিনই দরজা ভেঙে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে।
পরিবার বলতে তেমন কেউ নেই তার, আবাসিক স্কুল কলেজ শেষে এখন হোস্টেলেই ভরসা।
তাই তারজন্য ব্যাপক যত্ন নিবে সেরকম কেউই নেই।
বরং হোস্টেলে সে সবার বোঝা হয়ে পড়ে। তাই মনে মনে সে ভাবে এরপরের বার সুইসাইড করলে এমনভাবেই করবে যেন, আর বাঁচতে না হয়।
হাসপাতালের জানালা দিয়ে নরম রোদ গায়ে লাগে। এবার বোধহয় আর বাঁচার সম্ভাবনা নেই। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে, মূলত হাতের রগ কেটে জীবননাশের চেষ্টা করেছিলো। একদম মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলো ওর রুমমেট। ডাক্তার যতটা পারা যায়, চেষ্টা করেছে। রায়ান জানালার দিকে হাত বাড়িয়ে সূর্যকে ধরার চেষ্টা করে, কিন্তু পারে না।
অন্তিম মুহুর্তগুলো বোধহয় সবসময় আক্ষেপেরই হয় !
I couldn\’t agree more! Your post is a valuable resource that I\’ll be sharing with others.
I\’m glad you enjoyed it! Your kind words inspire me to keep creating informative content.
Your dedication to providing quality content is truly admirable. I\’m a fan of your work.